দেশে এবছর ছাগলের বাম্পার উদপাদন হয়েছে। মোট ছাগল সংখ্যার সাথে বাড়তি সংযোজন এই ছাগল গুলোকে জনগণ আদর করে 'ছাগু' বলে ডাকে। কিন্তু এই ডাক শুনে তারা আনন্দে আটখানা হয়ে অনলাইনে অফলাইনে যে পরিমানে ল্যাদানো শুরু করেছে তা রীতিমত আশংকা জনক। কিভাবে এই ছাগ সম্পদ কে দেশের কাজে লাগানো যায় তা নিয়ে জনগণ উদ্বিগ্ন। দিলাম কিছু মুশাসিও থিয়োরি :
বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনঃ
ছাগুদের বিদেশে রপ্তানী করে আয় করা সম্ভব প্রচুর বৈদে...শিক মুদ্রা। ছাগুরাও এ ব্যাপারে আগ্রহী। জানা গেছে এরই মধ্যে তাদের আমদানি করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে 'এশিয়ার জাহান্নাম' নামে সুখ্যাত দেশ পাকিস্তান। অজানা কারনে মিয়া-বিবি রাজি থাকা সত্তেও সরকার তাদের বিদেশ পাঠাতে রাজি হচ্ছে না। দেশের তরুন সমাজ তাই ছাগুদের পাকিস্তান পাঠানোর দাবীতে শাহবাগে অবস্থান নিয়েছে। সেখানে ভিসার সুবিধার্থে 'পাকিস্তানের প্রেতাত্মা' সার্টিফিকেটও বিতরন করা হচ্ছে ছাগুদের মধ্যে।
কাঁঠাল চাষে সহায়তাঃ
দেশের জাতীয় ফল কাঁঠাল। কিন্তু প্রতি বছর গাছে পোকা আসার কারনে কাঁঠাল উদপাদন ব্যাহত হচ্ছে। তাই প্রতিটি কাঁঠাল গাছের জন্যে একজন ছাগু নিয়োগ দেয়া যায়। কোনো কাঁঠাল পাতায় পোকা আসার সাথে সাথে তা তারা খেয়ে ফেলবে। ফলে কাঁঠাল গাছ থাকবে পোকা মুক্ত!
শোলাকিয়া ময়দানের ঘাস সাইজে রাখাঃ
ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ময়দানের ঘাস সাইজে রাখার জন্যে ছাগুদের নিয়োগ দেয়া যায়। ছাগুরা কোনো প্রকার 'মেশিন' ব্যবহার ছাড়াই সাশ্রয়ে একাজটি করতে পারবে। শোলাকিয়া ময়দানের ইমাম সাহেবও এই সময়ে তাদের প্রকৃত ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞান দান করতে পারবেন।
বিজ্ঞাপনঃ
মলম পার্টি ও গোপন রোগের কোম্পানী গুলো বাসে, রেলস্টেশনে লিফলেট বিতরণ করে আজকাল সুবিধা করতে পারছে না। এদিকে অনলাইনে যে কোন লিঙ্ক বা লেখা লজ্জাহীন ভাবে,না পরে,না বুঝে শেয়ার ও কপি করার অসামান্য প্রতিভা রয়েছে ছাগুদের। মলম ও গোপন রোগের কোম্পানী গুলো তাই তাদের বিজ্ঞাপনের জন্যে চোখ বন্ধ করে এদের লাগাতে পারে।
লেখাটি যদি আপনার গাত্র দাহের কারন হয় তবে আপনিই সেই, হ্যা , আপনাকেই খুঁজছে বাংলাদেশ। উপরের যে কোনো একটি উপায়ে আপনার মেধাকে দেশ অ জাতির জন্যে কাজে লাগানো শুরু করুন আজ থেকেই!
No comments:
Post a Comment